মালয়েশিয়া মহামারি করোনা আক্রান্তের সংখা আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবাসীরা দিশেহারা হয়ে পরেছে।দৃর্ঘ্য দিন যাবৎ লকডাউনের ফলে মানুষিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটাই দু্র্বল হয়ে পরা প্রবাসীদের মনে একটু স্বস্তি ফিরে পেলেও সপ্তাহজুরে আবারও আক্রান্তের সংখা বৃদ্ধি পাওয়ার আবার কালো মেঘের আপছা দেখতে পাচ্ছে মালয়েশিয়া প্রবাসীরা। কর্মস্থলে কিছুটা কাজ বাড়লেও কারো মনে শান্তির ছবি দেখা যাচ্ছেনা। দৃঘ্য দিন যাবৎ দেশে ঠিক মত খরচের টাকাও দিতে না পারায় অনেকের মনের স্বপ্ন ভেঙ্গ টুকরা টুকরা হয়ে গেছে। আবার অনেক কম্পানী বন্ধও হয়ে গেছে।ঐ সব কম্পানীর কিছু শ্রমিক এজেন্টের মাধ্যমে অন্য জায়গায় কাজ নিয়েছে। বুজতেইতো পারছেন এজেন্ট খাওয়ার পরে শ্রমিকের ভাগটা আর কর হতে পারে।
তার পরও পরিবারপরিজনের মুখে একটু হাসি ফুটানোর জন্য সামান্য বেতনে কাজ করতে হচ্ছে তাদের সর্ব দিক বিবেচনার পর দেখা যাচ্ছে প্রবাসীরা আসলেই অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। কথা বলতে গেলে তারা জানায় দেশেতো যাওয়াই যাচ্ছেনা, আর দেশে গিয়েইবা কি করব। দেশে তেমন কর্মস্থল ও নেই। অন্যের বাড়ীতে কাজ করাও সম্ভব না। বাপ দাদাও তেমন সম্পত্তি রেখে যায়নি,নিজেও কিছু করতে পারিনি । তাই কষ্ট করে হলে থাকতে হবে। কিন্তু চিন্তা একটাই বাঁচবা না কি মরব তার কোন ভরসা নেই। গত ১ সপ্তাহ আগে প্রতি দিন সামান্য দু চারজন রোগী পাওয়া যেত আর সপ্তাহব্যাপী অধিক রোগী পাওয়া যাচ্ছে। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে যে সকল প্রবাসী ছুটিতে আছে তাদের প্রবেশ করার মত আর সুযোগ চলতি বছরে সম্ভব না।
গত ০৫/১০/২০২০ তারিখ আক্রান্তের সংখা ছিল ৪৩২ জন। গতকাল নতুন ৬৯১ জন আক্রান্ত হয়ৈছে বলে মালয়েশিয়া স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের তথ্যে জানা যায়। বেশীর ভাগ পরিবারই চলে তার একমাত্র উপার্জনকারী প্রবাসীর পাঠানো টাকায়। আমরা মাস্ক সব সময় ব্যবহার করবো বাহিরে ঘুড়াফেরা থেকে বিরত থাকব,এই মহামারীর এখন পর্যন্ত এক মাত্র প্রতিশেধক নিজেকে সাবধানে রাখা।
আবাররো আসতে পারে কঠোর আইন প্রয়োগ লকডাউন অমান্য কারীদের। দেশের জন সার্থে মালয়েশিয়া সরকার যে কোন প্রদক্ষেপ নিতে সব সময় প্রস্তুত।