বসন্তের রঙে ভালোবাসা হয়ে উঠুক রঙ্গিল ।
দৈনিক পাবলিক বাংলা:-
পহেলা ফাল্গুন আজ, ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। শীতের রুক্ষতা শেষে পত্রপল্লবে ফিরছে সজীবতা। শীতের ঝরা পাতা বিদায় দিয়ে বইছে ফাগুনের হাওয়া। শীতের রুক্ষতা পেছনে ফেলে বসন্তের উতাল হাওয়ায় নবপ্রাণের ছোঁয়া সবখানে, মহাসমারোহে প্রকৃতি খুলে দিয়েছে সৌন্দর্যের দুয়ার। কৃষ্ণচূড়া আর শিমুলের দেখা এখনো না মিললেও পলাশের ডালে ডালে আলোর নাচন আর পাখিদের কলতান জানান দিচ্ছে- এসে গেছে ঋতুরাজ-বসন্ত। ১৩ ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুন। বসন্তের প্রথম দিন। পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’। এই দিনগুলোতে রঙিন হয়ে ওঠে মন। বাহারি সাজে সেজে ওঠে প্রকৃতি ও মানুষ। তাই দুটি দিবসকে সামনে রেখে কবি লিখেছেন ফাগুনের আগুন লাগে তোমার হৃদয়ে, বলি হে সখা সেজেছো কেমন নতুনের আগমনে।’ ঋতুরাজ বসন্তে প্রকৃতি কন্যা সাজে নতুন রূপে। গাছে গাছে নতুন পাতার আগমন ঘটে। শিমুল, পলাশ আর কৃষ্ণচূড়ার আবাসে চারিদিক লাল হয়ে যায়। নারীরা বাসন্তি শাড়িতে নিজেকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলে। পুরুষ সাদা পাঞ্জাবি আর শিশুরা রং-বেরঙের পোশাকে সজ্জিত হয়।
‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’ বাঙগালি সংস্কৃতির এক অপার নিদর্শন বসন্ত বরণ। বলা হয়ে থাকে ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক, বসন্ত বরণে বাঙালি সবসময়ই সচেষ্ট। কারণ বসন্তের শুরুতেই আমের বাগানে দেখা যায় নতুন অম্র মুকুলের অমল হাসি। ফাল্গুনের প্রথম প্রহরে রক্তিম লালিমা নিয়ে সূর্য প্রকৃতিকে নবরূপে সজ্জিত করে। নতুন পল্লবে ভরে উঠে প্রকৃতি কানন। চারপাশ কোকিলের কুহুকুহু তানে মুখরিত হয় প্রাণ ছোঁয়ে।
ভালোবাসার পবিত্রতা রক্ষা করে পূর্ণ হোক সব আশা। হীনম্মন্যতা দূর করে সত্যিকারের ভালোবাসায় নিমজ্জিত হোক তরুণরা। ভালোবাসায় ভরে উঠুক জীবন। এ বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হোক। বসন্তের রঙে রাঙিয়ে তুলুন জীবন। ভালোবাসুন মাতৃভাষা, দেশ এবং দেশের মানুষ। ভালোবাসুন দেশীয় পণ্য এবং নিজস্ব সংস্কৃতি। ভালোবাসায় ভরে উঠুক সবার জীবন। শুভ হোক আগামীর পথচলা।