আলমগীর প্রধান
স্টাফ রিপোর্টার
মালয়েশিয়া
৩১শে ডিসেম্বর ২০২০
আজ মালয়েশিয়ার সেলেঙ্গরের শাহ আলমে ১ কম্পনীর প্রায় ৪ শত প্রবাসির করোনা টেষ্ট করে,টেষ্টে সকলের নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।
রিপোর্ট পেয়ে সবাই খুশি।
তার পরও সবার মনে প্রশ্ন ২০২০ সালে
কি হারিয়েছি আর কি পেয়েছি?
২০২০ আপনাকে কি দিয়েছে?
হ্যঁ বিষে ভরা ২০২০ সালে পেয়েছি ঘাতক ছোট্ট করোনা ভাইরাস,যা কেউ দেখতে পায়না।আর যাকে চিনাত চেয়েছে তাকে আর কোন ডাক্তার সুস্থ্য করতে পারেনী বরং ঐ ডাক্তারকেও দুনিয়া থেকে বিদায় জানাতে হয়েছে। যেখানে আমেরিকা সারা দুনিয়ার রাজত্ব করত সেখানেও সবার ঘুম হারাম করে দিয়েছে।
প্রতিদিন হাজারো লাসের মিছিলের আয়োজন করেছে ছোট্ট এই করোনা।
যে পৃথিবীর মানুষ ১মিনিটও বসে থাকতনা দুনিয়ার হিসাব ছাড়া আর ২০২০ সালে মানুষ ঘর ছেড়ে বাহিরে পা রাখেনি তারা আর কিছু বুঝেনি লকডাউন ছাড়া। প্রবাসিদের কথা সে আার কি বলব আসলে এরাতো কোন হিসাবেই পরেনা।
কারন জানতে চাইলে আমি বলব:- ভুলে গেছেন সেদিনের কথা যে দিন সমস্ত পৃথিবী স্তব্দ হয়ে শান্ত মায়ের আঁচলে মুখ ডেকে চোখ দিয়ে শুধু নিজেকে দেখছিল, প্রবাসিরা সেদিন টুকু খুজে পায়নি, সেদিনও জীবনের মায়া ভুলে কাজ করতে হয়েছে নিজের সংসারের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য।কত কষ্টে চলে প্রত্যেকটা প্রবাসির জীবন তা একমাত্র প্রবাসিরাই জানে।
আর সেদিন কত প্রবাসিদের কাজ ছিলনা তারা কত কষ্টে ছিল তাদের পরিবারের আর্তনাদ কি কেউ শুনেছে, তাদের চাপা কান্নার কথা কি কেউ কখনো জানতে চেয়েছে—-না, কেউ কখনো জানার চেষ্টাও করবেনা। মুখে শুধু বলে যাবে প্রবাসিরা সোনার ছেলে, প্রবাসিরা রেমিডেন্স যুদ্ধা, প্রবাসিরা দেশের সম্পদ। সে দিন তো আপনারা কেউ প্রবাসিদের খুজ নিলেন না যেদিন সরকারী প্রনোদনা ভাগাবাগি করেছিলেন কোন প্রবাসি পরিবারতো প্রনোদনার আওতায় আসেনি। না প্রবাসিরা চায়না আপনাদের দয়া , প্রবাসিরা একমাত্র সৃষ্টি কর্তার উপর ভরসা করে থাকতে চায়,
যে দিন বাঁচতে চাই বাঁচতে চাই বলে আর্তনাতের সুর ছাড়া অন্য সুর আর বাজেনি সে দিন ও প্রবাসিরা পিছু পা হয়নি।
তার পর ও প্রবাসিরা নিস্তব্ধতার মাঝে অতিক্রম করতে যাচ্ছে ২০২০। পরিশেষে ২০২০ সালের করোনা মহামারীকে বিদায় জানিয়ে ২০২১ সালের শুভেচ্ছা জানাতে প্রস্তুুত সারা পৃথিবীর মানুষ । তবে উৎসবে নয় নিস্তব্ধ কোলাহল বিহীন।।