মৃত লাশ নিয়ে মালয়েশিয়া এম্বাসির তালবাহানা:
মোহাম্মদ রাজিব উদ্দিন, মালয়েশিয়া থেকে:
গ্রাম রামপুর
ওয়ার্ড নঃ(৯)
সোনাইমুড়ী পৌরসভা নোয়াখালী
লাশটি দেশে পাঠাতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।ছবিতে দেখা মানুষ টি দীর্ঘ ২৪টি বছর মালয়েশিয়া অবস্থান করছেন,তার মাধ্যমে অন্তত তার এলাকার ২০-২৫ জন বেকার যুবক মালয়েশিয়া এসে প্রতিমাসে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে,কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই লোকটি মারা যাওয়ার সময় তার পার্সপোর্ট টি কোথায় রাখছে তা কাউকে বলে যেতে পারেনাই।
তার আশ পাশে থাকা বন্ধু বান্ধব অনেকে খোজাখুজি করে ও তার পার্সপোর্ট টি পাইনাই।
মাত্র ২বছর আগে এই মানুষ টা ২২বছরের প্রবাস জীবন শেষ করে,দেশে ফিরে যাই কিন্তু যাওয়ার পর দেখে তার দেওয়া টাকা পয়সার কোনোটাই তার জন্য রাখেনাই।
পরিশেষে এই মানুষ টা এক বুক হতাশা নিয়ে একটা গরীবের মেয়েকে বিয়ে করে।
তারপর শশুর তার থাকা ঘর ভিটাটা বন্ধক দিয়ে ব্যাংক থেকে ৩লাখ টাকা ঋন নিয়ে আবার জামাইকে মালয়েশিয়া পাঠাই।দুঃখের বিষয় হচ্ছে শশুরের নিয়ে দেওয়া লোন,তো শোধ করতে পারেনাই,তার উপর নব বিয়ে করা মেয়েটার বেচেঁ থাকার ও একটা ব্যাবস্থা করার আগে তাকে দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হয়।
মানুষ টি মারা যাওয়ার পর এম্বাসিতে যোগাযোগ করা হলে তারা 4500RM চাই বা বাংলা টাকায় ১লাখ টাকা
চাই কিন্তু মৃত ব্যাক্তির পরিবার থেকে কোনো টাকার দেওয়ার মতো সামর্থ্য বা অপারগতা প্রকাশ করায় আমরা ব্যাক্তি উদ্দ্যেগে তার লাশ পাঠানোর খরছের ব্যাবস্থা করি।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে শুধুমাত্র পার্সপোর্ট ড়কুমেন্টের নামে এম্বাসি লাশ পাঠাতে কোনো ছাড়পত্র দিচ্ছেনা।
মৃত ব্যাক্তির কাবিনা নামা,চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট,এমন কি সে যে একজন প্রকৃত বাংলাদেশী তার জন্ম নিবন্ধন সহ সব ধরনের প্রমান রয়েছে। এবং তার প্রথম ঘরের একটি বিবাহ উপযুক্ত সন্তান ও রয়েছে।আশা করছি নোয়াখালীর ক্ষমতা সীন ব্যাক্তি সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
বিঃদ্রঃ মৃত ব্যাক্তির আত্মীয় স্বজনের অনুরোধে আমি লিখতে বাধ্য হলাম,যদি ও এর আগে এম্বাসির নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে আমি একাধিকবার লিখি।কিছু কর্মে সফল ও হয়েছে।